নিজেকে জানুন ‘সেলাফি’ দেখে
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
নিজের বা কারও সম্পর্কে ধারণা করতে চাইলে ‘সেলফি’র দিকে নজর দিতে পারেন।
ফেইসবুক এবং স্মার্ট ফোনের যুগে নিজেকে মেলে ধরতে গিয়ে মানুষ নানান কা- করেন। ‘সেলফি’ তোলাও সেরকম একটা ব্যাপার। আর এই ‘সেলফি’ দেওয়ার ঝোঁক এবং অঙ্গভঙ্গী পর্যবেক্ষণে সেই মানুষ সম্পর্কে ধারণাও করা যায়।
‘কম্পিউটার অ্যান্ড হিউম্যান বিহেভিয়র’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মানুষের ব্যক্তিত্বের ওপর নির্ভর করে সে কীভাবে ‘সেলফি’ তুলবে।
পাউট বা ডাক ফেইস: এই ধরনের ভঙ্গি বেশ প্রচলিত। তবে মোটেও ভালো চিহ্ন বহন করে না। এই ধরনের মানুষ সাধারণত- আবেগপ্রবণ, অস্থির ও স্নায়ুবিকভাবে দুর্বল হয়ে থাকেন।
ক্যামেরার দিকে সরাসরি তাকিয়ে সেলফি তোলা: এখানে ধারণা করার কিছু নেই। শুধুমাত্র আত্মবিশ্বাসী মানুষরাই সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকায়। তাছাড়া আত্মবিশ্বাসী মানুষরাই নেতৃত্ব দিতে পারেন।
সেলফি তোলার সময় হাসি: এভাবে যারা সেলফি তোলেন তারা নতুন অভিজ্ঞতা পছন্দ করেন এবং সেটা প্রকাশে লজ্জা পান না। তারা বন্ধুসুলভ ও ভালো সঙ্গী হতে পারেন। হাসতে পছন্দ করেন। অর্থাৎ তারা প্রফুল্ল মনের মানুষ।
দ্রুত ভঙ্গি পরিবর্তন করা: অনেকেই দ্রুত অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন করে সেলফি তোলেন। সেগুলো দেখতেও বেশ মজার হয়। তাদের কাছে জীবনটাই একটা অনুষ্ঠান। এরা চারপাশের সবকিছুকে এভাবে দেখতেই পছন্দ করেন।
পেছনে বিস্তীর্ণ দৃশ্যপট: যদি সেলফিগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আশপাশের বিষয় কেন্দ্রিক হয় তাহলে সে অনেকটাই ‘জাহির করা’ ধরনের মানুষ। এই ধরনের মানুষ সবসময় পৃথিবীকে জানানোর চেষ্টায় থাকেন যে– সে কতটা দারুণ জীবনযাপন করছেন, কত সুন্দর জায়গায় যাচ্ছেন, কত ভালো ভালো খাচ্ছেন।
যাদের দৃশপট কম: ছবিতে পেছনের পরিবেশ কম থাকে বা থাকেই না, এরকম সেলফি তোলা মানুষদের কাছে ‘প্রাইভেসি’ বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ।
ক্যামেরা উঁচু করে তোলা: অনেকেই ক্যামেরা উঁচু করে সেলফি তোলেন। কারণ তারা জানেন, এটা ছবি তোলার সবচেয়ে ভালো কোণ। এরা কিছুটা আত্মপ্রিয় ও নিজের প্রতি মনোযোগী। এর একটা ভালো দিকও আছে, কোন কাজ কীভাবে করতে হবে সে সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই জানেন তারা।